তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ২৫ নম্বর কূপ

দৈনিক তোলা যাবে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

Looks like you've blocked notifications!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস গ্যাসফিল্ডের ২৫ নম্বর কূপের খননকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে পরীক্ষণের কাজ। পুরোপুরি কাজ শেষ হলে এ কূপ থেকে প্রতিদিন অন্তত ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হবে।

তিতাস গ্যাসফিল্ডের ২৫ নম্বর কূপের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) গোলাম মর্তুজা আজ শুক্রবার সকালে ফোনে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।

গোলাম মর্তুজা জানান, পরীক্ষণ কাজ (লগইন কাজ) শেষ হতে আরো অন্তত এক মাস সময় লাগবে। এরপরই কূপটি পুরোপুরি উৎপাদনে যাবে।

গত ১৭ ডিসেম্বর কূপটির খননকাজ শুরু হয়। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের এ কূপ ছাড়াও আরো চারটি কূপ খনন হচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে তিতাসের এসব কূপ খনন শেষ হবে। এতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে।

বিষয়গুলো উল্লেখ করে গোলাম মর্তুজা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলির নন্দনপুরে তিতাস গ্যাসের ২৫ ও ২৬ নম্বর কূপ খনন হচ্ছে। সব কূপ খনন শেষ হলে জাতীয় গ্যাস গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস ফিল্ডের ২৩টি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কূপের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে তিতাস ফিল্ড থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ৫২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

দেশের জ্বালানি চাহিদার ৩১ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে তিতাস ফিল্ডের গ্যাস। বাংলাদেশ সরকার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে কূপগুলো খনন হচ্ছে।

চীনের সিনোফ্যাস্ক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কূপগুলোর খননকাজ পরিচালনা করছে।

কূপ খননে ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি টাকা। এ চারটি কূপ খনন শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে।