চরফ্যাশন পৌর নির্বাচন সোমবার
ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার নির্বাচন আগামীকাল সোমবার। নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোট দেওয়া নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ভোটার ও বিএনপির প্রার্থীরা।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিলসহ সব ধরনের সরঞ্জাম বুঝে নেন।
এদিকে আজ সকাল থেকে পৌর এলাকায় র্যাব টহল দিলেও কোস্টগার্ড ও বিজিবিকে দেখা যায়নি। নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এখানকার সাধারণ ভোটার ও বিএনপির প্রার্থীরা। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন খান বলেন, ‘র্যাব চলে এসেছে। কোস্টগার্ড ও বিজিবি রাতে আসছে।’
আগে না এনে নির্বাচনের আগের দিন রাতে কেন আনা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে হেলাল উদ্দিন বলেন, কমিশন থেকে অনুমতি আসতে দেরি করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, মেয়র পদে দুজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি ভোটকেন্দ্রে ২২ হাজার ৩৩১ জন ভোটার ভোট দেবেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আ ন ম আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৯ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি ঘরানার সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মাত্র দুজন।
এদিকে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১১ জন অস্ত্রধারী পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও কেন্দ্র এলাকা এবং পথে-প্রান্তরে ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড ও বিজিবির সদস্যরা সব সময় টহল দেবেন। চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।