ভারতের মেদেনীপুরে ওরশে যোগ দিতে ছাড়ল বিশেষ ট্রেন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুরে ওরশে যোগ দিতে প্রায় দুই হাজার যাত্রী নিয়ে একটি বিশেষ ট্রেন আজ সোমবার রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ছেড়েছে।
ট্রেনের যাত্রীরা মেদেনীপুরে হজরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর বংশধর হজরত আলী আব্দুল কাদের সামসুল কাদের সৈয়দ শাহ মুরশিদ আলী আল কাদরি আল হাসাইনি ওয়াল হুসাইনি আল বাগদাদি (রহ.)-এর ১১৫তম বার্ষিক ওরশে যোগ দেবেন।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক জিন্নাত আরা, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আজ রাতে ওরশ যাত্রীদের শুভেচ্ছা ও বিদায় জানান।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদিরিয়ার সভাপতি কাজী ইরাদত আলী জানান, বড় হুজুর কেবলা পরিচালিত রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদরিয়ার উদ্যোগে ২২টি বগির এই বিশেষ ট্রেনটি নারী, পুরুষ, শিশুসহ দুই হাজার ওরশ যাত্রী নিয়ে ছাড়ে রাত ১০টায়। ট্রেনটি মেদেনীপুর পৌঁছালে সেখানকার বিধায়ক, পৌর চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিশেষ ট্রেনের যাত্রীদের স্বাগত জানাতে এখন প্রস্তুত। সেখানকার ওরশ শেষে ট্রেনটি ফিরে আসবে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে। মেদেনীপুরের গদিনসীন পীরে কেবলা হজরত সৈয়দ শাহ রশীদ আলী আল কাদরী আল হাসাইনি ওয়াল হুসাইনি (আ.) মূল এই ওরশ শরিফ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদরিয়া সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের পশ্চিমবাংলা রেলওয়ে ১৯০২ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ওরশ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যৌথভাবে এই ট্রেন পরিচালনা করে আসছে।
শতবর্ষের চেয়ে বেশি ধর্মীয় এই ওরশ উৎসবকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক ট্রেনটি দুটি দেশের সেতু বন্ধন এবং সব ধর্মের প্রতি একে অপরের সমান শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুস শুকুর জানান, যাত্রীরা যাতে নিরাপদে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এ জন্য রেল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে বিশেষ এই ট্রেন যাতায়াতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিন্নাত আরা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওরশ যাত্রীরা রাজবাড়ী এসে আজ ওই ট্রেনে ওঠেন। বিকেলের মধ্যে পুরো
ট্রেনের সব আসন ভরে যায়। অনেকে দাঁড়িয়ে ওরশের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এদিকে ভারতের ভিসা না পাওয়ায় অনেক যাত্রী ওরশের ট্রেনে উঠতে পারেননি। এজন্য রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদরিয়ার সভাপতি কাজী ইরাদত আলী ওরশ যাত্রীদের ভিসা দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার দাবি জানিয়েছেন।