অবশেষে মামলা করল বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাসে হামলা ও ছাত্রীদের লাঞ্ছনার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার ছাত্রীদের নির্যাতন ও সন্ত্রাসী হামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুর রব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসন মজুমদার সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের কাছে হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা মামলা লিপিবদ্ধ করি। হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী হামলা, মারধর করা, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির মামলায় (মামলা নং-৫৫/২০১৬) এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন কুমিল্লা শহরের প্রশান্ত সাহা ওরফে রনি (২৬) ও রাকেশ দাস (১৯)।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বাস ক্যাম্পাস থেকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে পৌঁছালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শোভাযাত্রায় ত্রিনয়ন ও শান্তি সংঘ পূজা ব্যানার লাগানো ট্রাক থেকে কিছু উশৃঙ্খল যুবক বাসে অবস্থানরত ছাত্রীদের লক্ষ্য করে রং ছিটায়। ছাত্ররা প্রতিবাদ করলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি ভাঙচুর করে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসে উঠে ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা করে। এতে ২৫ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামানের হাতের তিনটি শিরা কেটে যায়।
এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আহত শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামনের হাতে সোমবার অস্ত্রোপচার করা হয়। আক্তারুজ্জামন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলায় বাসের সবাই আহত হয়েছে। ওরা বাসে উঠে আমাদের ওপর হামলা করে। ছাত্রীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। বিভিন্ন সময় শহরে আমাদের শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছনার শিকার হয়। এর প্রতিকার চাই।’