শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগে বরিশাল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত
এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সরকারি বরিশাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাত ৮টায় মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন। তিনি জানান, কমিটি স্থগিতের পাশাপাশি সরকারি বরিশাল কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণাও করা হয়েছে।
পরীক্ষার হলে ঢুকে কর্তব্যরত এক শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষকদের জরুরি বৈঠক শেষে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজ অধ্যক্ষ খন্দকার অলিউল ইসলাম জানান, সম্মান প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা চলাকালীন ৩১০ নম্বর কক্ষে ঢুকে কর্তব্যরত শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
নজরুল ইসলাম উজিরপুর শহীদ স্মরণিকা ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক।
এ ঘটনায় উপাধ্যক্ষ সরদার নূরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হতে পারে বলে জানান অধ্যক্ষ।
লাঞ্ছনার শিকার কাজী নজরুল ইসলাম জানান, পরীক্ষা শুরুর পর হলে ঢুকে দুজন পরীক্ষার্থীকে (এক ছেলে ও এক মেয়ে) আত্মীয় দাবি করে তাদের অবৈধ সুবিধা দিতে বলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়দানকারী মামুনসহ কয়েকজন। তবে তাদের দাবি না মানায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে হলে ঢুকে মামুন তাঁর পাঞ্জাবির কলার ধরে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক যুবক তাঁকে চড়-থাপ্পড় দেয়। পরে বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ সভাপতি আল মামুন জানান, কলেজের তৃতীয় তলায় হট্টগোল দেখে তিনি দৌড়ে সেখানে যান। দেখতে পান বহিরাগত এক যুবক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। এ সময় তিনি ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করতে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি মামুনের।