ময়মনসিংহে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তিনজন আটক

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে শিশু সাদ্দামকে নির্যাতনের মামলায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন আজিজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।

গত বুধবার দুপুরে শহরের পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক নারীর মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাদ্দামকে ট্রাফিক পুলিশের লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে কিছু ব্যক্তি। এই নির্যাতনের ভিডিও চিত্রও ধারণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সাদ্দামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেদিন সন্ধ্যায় সাদ্দামের মা পারভীন আকতার মুচলেকা দিয়ে ছেলেকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিত্রে দেখা যায়, কৃষ্টপুর দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি পুলিশের উপদেষ্টা এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আ. লীগের সহসভাপতি সফির উদ্দিন সরু নির্দয়ভাবে শিশু সাদ্দামকে (১০) পেটাচ্ছেন।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুর মা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে পরের দিন বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান ভিডিওচিত্র দেখে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে রাতেই অভিযানে বের হন । আজ ভোরে এই তিনজনকে আটক করেন। তবে নির্যাতনকারী আওয়ামী লীগ নেতা সফির উদ্দিন সরুকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ ।

নির্যাতনের শিকার সাদ্দাম (১০) শহরের কৃষ্টপুর সরকারি বস্তিতে তাঁর মা পারভীন আকতারের সঙ্গে থাকে।

এদিকে নির্যাতনের বিষয়ে বুধবার ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ছেলেটি পেশাদার ছিনতাইকারী। এর আগেও তিন-চার বার ধরা পড়ে থানায় এসেছে। এটি একটি ছোট ঘটনা। বড় ঘটনা হলে আমরাই আপনাদের জানাব।’

তবে মামলা হওয়ার পর ওসি জানান, তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, অভিযোগ প্রসঙ্গে বুধবার আওয়ামী লীগ নেতা সফির উদ্দিন সরু বলেন, ‘ওই এলাকায় এক নারীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে সাদ্দামকে আমি চড় থাপ্পড় দিয়েছি। সে পেশাদার ছিনতাইকারী। পরে তাকে  থানায় সোপর্দ করি।’

সিলেটে রাজন, খুলনায় রাকিব হত্যার পর সম্প্রতি রাজশাহীর পবায় জাহিদ হাসান ও ইমন আলীকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে নির্যাতনের রেশ না কাটতেই একই কায়দায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটল। গত বুধবার হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় বালুর নিচ থেকে  চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের শ্বাসরোধ করে, পাঁজরের হাড় ভেঙে হত্যা করে বালুচাপা দেওয়া হয়।