বাকৃবির সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করতে হবে

Looks like you've blocked notifications!
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ বাকৃবির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের একযোগে কাজ করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বাকৃবির সপ্তম সমাবর্তনে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

বেলা ১১টার দিকে সমাবর্তন মঞ্চে ওঠেন রাষ্ট্রপতি, চ্যান্সেলর ও সমাবর্তনের সভাপতি আবদুল হামিদ। এ সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে ধর্মীয় আচার শেষে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে দেওয়া বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্ববিদ্যালয়কে আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে টিকে থাকতে হলে স্থানীয়, জাতীয় ও বৈশ্বিক অবস্থান স্পস্ট করতে হবে। এটি সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক উপযোগিতা, মানে আন্তর্জাতিক চরিত্র নিশ্চিতের মাধ্যমে।

আবদুল হামিদ বলেন, উচ্চতর কৃষিশিক্ষার পথিকৃৎ ও প্রধান বিদ্যাপীঠ হিসেবে বাকৃবি শিক্ষা ও গবেষণা তৎপরতায় এ চাহিদাগুলোর প্রতিফলন ঘটানোর ব্যাপারে বরাবরই যত্নবান। এরই ধারাবাহিকতায় এখানকার শিক্ষা কারিকুলাম নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাঠের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা এতদিন নিয়েছ। এখন দেশ ও জাতিকে পরিশোধ করতে হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে এতদিন তোমরা প্রকৃতির শ্যামলিমায় ঘেরা এই অনন্যসুন্দর শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করেছিলে, দীর্ঘ ও কঠোর সাধনার মাধ্যমে স্বপ্নের সেই গন্তব্যে আজ উপনীত হয়েছ। কৃতিত্ব ও সাফল্যের বিভায় দীপ্ত তোমাদের জীবনের এই অধ্যায়। তাই আজ শুধু স্বজন-পরিজন নয়, বরং সমগ্র জাতি তোমাদের নিয়ে গর্ব করে। তারা এতদিন তোমাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে ধরেছেন আর তোমরা তা দুই হাত ভরে নিয়েছ। নিজেদের তোমরা জ্ঞানের দক্ষতায় সমৃদ্ধ করেছ। পেশাগত শিক্ষালাভের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্ত্যব্যবোধকে শাণিত করার অনন্য সুযোগ পেয়েছ। এভাবে তোমাদের অনেক ঋণ জমেছে দেশ ও জাতির কাছে। এখন তোমাদের সেই ঋণ পরিশোধের পালা।’

বক্তব্যের আগে রাষ্ট্রপতি সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিপ্রাপ্তদের স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন।

সমাবর্তনে আরো বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।