শহীদ মিনারে হামলা, ছাত্রলীগের নেতাদের মুক্তির দাবি
একুশের প্রথম প্রহরে যশোর সরকারি এমএম কলেজ শহীদ মিনারে বোমাহামলা ও গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সাধারণ ছাত্রছাত্রীর ব্যানারে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কলেজ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন থেকে ঘটনার সঙ্গে প্রকৃত জড়িতদের আটক, ছাত্রদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ছাত্রলীগের আটক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করা হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শতাধিক কলেজ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে যশোরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আতঙ্কে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষ ছুটাছুটি শুরু করে। বেশকিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ। পরে পুলিশের তৎপরতায় ভোর থেকে আবার শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন।
শহীদ মিনারে ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে ১০টি ককটেল, গান পাউডারসহ ককটেল তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, মামলায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয়েছে এবং ১০ জনকে আটক দেখানো হয়েছে।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল দাবি করেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর যারা হামলা করল তাদের আটক না করে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আটক করে হয়রানি করছে।
আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, ‘সবাই দেখেছে, কারা কাদের ওপর হামলা করেছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকত, তাহলে নিশ্চয় তারা হোস্টেলে বসে থাকত না। যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সহসভাপতি রাশেদ মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিসহ সবাই কোনো না কোনো পদে রয়েছেন।’
এসব নেতার মুক্তি দাবি করে প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।