কার্ড জালিয়াতি : পিওতরের বাসা থেকে ল্যাপটপ, ফোন জব্দ

Looks like you've blocked notifications!
এনটিভির পুরোনো ছবি

বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার বিদেশি নাগরিক পিওতর স্চেপান মাজুরেকের বাসায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে পিওতরের বাসায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ পিওতরের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়। পিওতর ও সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের তিন কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। চারজনই রিমান্ডে রয়েছেন।

গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, পিওতর স্চেপান মাজুরেক পোল্যান্ডের নাগরিক। অন্য তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন মকসেদ আলম ওরফে মাকসুদ, রেজাউল করিম ওরফে শাহিন ও  রেফাজ আহমেদ ওরফে রনি।  এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট ও জার্মান সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) জব্দ করা হয়।

পিওতরের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তিনি ইউক্রেনে জন্মগ্রহণ করলেও মূলত জার্মানির নাগরিক। কিন্তু অন্যের পাসপোর্ট চুরি করে টমাস থেকে পিওতর বনে যান। এই নাম নিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, এই জালিয়াতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত। পূর্ব ইউরোপ মূলত রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন ও পোল্যান্ডভিত্তিক এ আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র ইউরোপসহ আফ্রিকা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তৎপর রয়েছে। এক লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি, বুলগেরিয়ার একজন ও ইউক্রেনের এক নাগরিককে নিয়ে এর পুরো পরিকল্পনা করেন পিওতর।

ডিএমপি জানিয়েছে, গত ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় এই জালিয়াত চক্র।

২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বিদেশি নাগরিকসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম তাঁদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।