ময়মনসিংহে গৃহবধূ হত্যা : স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি আটক

Looks like you've blocked notifications!
মিনারা আকতার। ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহে মিনারা আকতার নামের প্রকৌশলী গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এতে জড়িত সন্দেহে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। আগামী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল।

হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের চড়পাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- মিনারার স্বামী মো. মুহিব্বুল আরেফিন সাকিব, শাশুড়ি মাহমুদা আকতার ও শ্বশুর আক্কাস আলী।

নিহত গৃহবধূ মিনারা আক্তার (২১) চড়পাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার মেয়ে । দুলাল মিয়া ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করেন। 

অন্যদিকে শহরের ভাটিকাশর এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি আক্কাস আলীর ছেলে সাকিব (২২)। সাকিব ও মিনারা ময়মনসিংহ পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি নিয়ে পাস করেছেন। 
এলাকাবাসী ও মিনারার স্বজনরা অভিযোগ করেন, জোর করে প্রেম ও পরে গত বছর ২৫ মে সাকিব ও মিনারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তবে রাজি ছিলেন না দুলাল মিয়া ও আমিনা আকতার। আগামী শুক্রবারে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন করে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য মেয়ের পক্ষ কেনাকাটা করেছে। কিন্তু তার আগেই মিনারা লাশ হয়ে ফিরল পরিবারের কাছে।

মেয়ের মা আমিনা আকতার বলেন, তাঁর মেয়েকে এসিড মারার ভয় দেখিয়ে জোর করে প্রেম করে বিয়ে করেছিল সাকিব। 

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, মিনারার শ্বশুরবাড়ির বক্তব্য সে রাতে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মেয়ের মায়ের দাবি, তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে । এ জন্য মেয়ের শাশুড়ি, শশুর ও স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ সোহরাব জানান, রাত সাড়ে ১১টার সময় ৩০ জনের মতো ছেলে মিনারাকে জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে চলে যায়। মেয়ের খালাতো ভাই জাকিরুল জানান, রাত ১টা ৩০ মিনিটে তাঁরা খবর পান মিনারার লাশ হাসপাতালের সামনে পড়ে আছে।