বগুড়ায় বোরো চাষের ধুম

Looks like you've blocked notifications!
বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে পুরোদমে বোরো চাষ শুরু হয়েছে। ছবি : এনটিভি

দেশের খাদ্য চাহিদার বিরাট অংশ জোগান দিয়ে আসছে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের চাষিরা। বছরের পর বছর উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেলেও সমস্যা মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলেছে তারা। আমনে প্রত্যাশিত মূল্য না পেলেও বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে এই অঞ্চলের চাষিরা।

urgentPhoto

লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে পুরোদমে বোরো চাষ শুরু হয়েছে। জমি চাষ আর ধান লাগানো জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। মার্চের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই সব জমিতে বোরো লাগানো শেষ হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছে। আর চাষিরা জানাল বীজ, সার  ও কীটনাশকের মূল্য কয়েক গুণ বেড়েছে। এ ছাড়া সেচ ও শ্রমিকের মজুরিতে খরচ হচ্ছে বেশি। তারপরও জমি ফেলে না রেখে ধান চাষ করছে চাষিরা।

কয়েকজন চাষি বলেন, ‘ধানের দাম নেই। পরতা হয় না। সারের দাম বেশি হওয়ায় বেশি খরচ হচ্ছে। ধান রোপণ, নিড়ানি, ধান কাটা, ঘরে তোলা সব কিছুতেই বেশি খরচ। এই ধান চাষ করে কোনোমতে পেট চলবে।’

অধিক ফলনের আশায় এবার চাষিরা সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে লাইন করে জমিতে ধানের চারা রোপণ করছেন। এ পদ্ধতিতে চারা রোপণে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

বগুড়ার সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গনি খোন্দকার বলেন, ‘লাইন করার জন্য ধানের চারা সঠিক দূরত্বে থাকতে পারছে এবং খাবার সঠিকভাবে নিতে পারছে। এতে কুশি বেশি হচ্ছে এবং এই কুশিগুলো সবল হচ্ছে।’

আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তা জানান, ফলন বৃদ্ধির জন্য সম্প্রসারণ নীতি, পানির সঠিক ব্যবহার, লাইন পদ্ধতিতে চারা লাগানো, গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বগুড়া অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক  মো. হযরত আলী বলেন, ‘আমরা বিশেষ করে জোর দিয়েছি লাইনে চারা রোপণ, স্বল্পবয়সী চারা রোপণ, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তির (এডব্লিউডি) ব্যবহার, গুটি ইউরিয়া ব্যাবহারের ওপর এবং গ্রুপ মিটিংয়ের মাধ্যমে চাষিদের উৎসাহিত করছি।’

বগুড়া আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে বগুড়া, জয়পুরহাট,সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৬০ হাজার ৯৯৮ হেক্টর জমি।