বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে সৃষ্ট সংঘাত থামাতে বরিশালে আজ বুধবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২টি রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে আহত হয়েছে বাংলাভিশন টেলিভিশনের চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান সেলিম রেজা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর ক্যামেরা। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে চারজনকে।
বরিশাল নগরের বিএফজি রেস্টুরেন্টের মালিক রুমি জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর আরেক রেস্টুরেন্ট ‘হটপ্লেটে’র কর্মচারী জামালের মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় আরেক কর্মচারী সজীবকে সন্দেহ করা হয়। সজীবকে রূপাতলী এলাকায় দেখতে পেয়ে অন্য কর্মচারীরা ডেকে এনে মোবাইল ফোন রেখে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সজীব নগরীর বাংলা বাজার এলাকা থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এনে রেস্টুরেন্টে হট্টগোল সৃষ্টি করে। এ সময় রেস্টুরেন্টের অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই শিক্ষার্থীরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে আসে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় সেখানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসে রেস্টুরেন্টে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সত্য রঞ্জন, কনস্টেবল ফিরোজ ও অপর এক কনস্টেবলসহ ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান, আরিফ হোসেন, আশিক ঢালি ও হুমায়ুন সরদারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বাংলাভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান আহত সেলিম রেজা বলেন, পুলিশ সদস্যকে মারধরের ছবি তুলতে গেলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাঁর ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাঁকেও আহত করে। এর মধ্যে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখায়াত হোসেন বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে তাদের তিন পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।