পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর অস্ত্রবাজির শাসন চলছে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/07/photo-1457369108.jpg)
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন নয়, এখানকার আঞ্চলিক দলগুলোর অস্ত্র ও চাঁদাবাজির শাসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের এ সভাপতি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ওপর আঞ্চলিক সংগঠনগুলো যেভাবে শাসন-শোষণ চালাচ্ছে, সেই শাসন সেনাশাসনের চেয়েও কঠিন। পাহাড়ের সাধারণ মানুষ আজ তাদের অত্যাচারে নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে আছে। এই মানুষগুলোকে অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্ত করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঠে কাজ করতে হবে।
আজ সোমবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দ্বিতল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন দীপংকর তালুকদার।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. মুছা মাতব্বর, কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন প্রমুখ।
সভায় রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, অমিত চাকমা রাজু, সবির চাকমা, জ্ঞানবিকাশ চাকমাসহ রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখে আঞ্চলিক দলগুলোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তার কারণে উপজাতীয় লোকদের আমাদের কোনো কর্মকাণ্ডে আসতে দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগ কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে লোকজনকে হুমকি প্রদর্শন করছে।
দীপংকর তালুকদার আক্ষেপ করে বলেন, ‘এসব করে কী লাভ? সাধারণ জনগণ আপনাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তারা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে না পারলে কী হবে, তাদের মনপ্রাণ পড়ে রয়েছে আমাদের কাছে।’
দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ‘আমরা অস্ত্রের রাজনীতি করি না, আমরা গণতন্ত্রের রাজনীতি করি। কেউ সাধারণ জনগণকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আসন ছিনিয়ে নিলে তাকে জয় বলে না।’ তিনি অস্ত্রের রাজনীতি ছেড়ে অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষের মঙ্গলে রাজনীতি করার আহ্বান জানান।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, কিছুদিন আগে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা বাঘাইছড়িতে এসে অনেক কথাই বলে গেছেন। সমাবেশে তিনি রাঙামাটি আসনের মতো আগামীতে তিন পার্বত্য জেলার তিনটি সংসদীয় আসনই দখলের ঘোষণা দেন।
‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে, হুমকি প্রদান করে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। আগামীতেও একই কায়দায় আসন দখলের স্বপ্ন দেখছে তারা। কিন্তু সে স্বপ্ন কোনোদিনই সফল হবে না’, যোগ করেন দীপংকর তালুকদার।