টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পেতে চাপ দিচ্ছে জাপান : মেনন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/18/photo-1458271905.jpg)
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পেতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চাপ দিচ্ছে জাপান বলে অভিযোগ করেছেন বেসামরিক ব্মিান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তবে তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে এ চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না মন্ত্রণালয়।
মেনন আরো জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কার্গো শাখার কাজ যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে অস্ট্রেলিয়ার পর চার মাসের ব্যবধানে এবার যুক্তরাজ্যের কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কবলে বিমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আর বিভিন্ন নিরাপত্তা দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় বিমানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। কার্গো শাখার নিরাপত্তায় এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক তিনটি সংস্থা রেড লাইন অ্যান্ড কনট্রোল রিস্কস, রেসট্রাটা পিলগ্রিমস গ্রুপ অ্যান্ড এডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়েস্টমিনস্টার এভিয়েশন সার্ভিসের নাম প্রস্তাব করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত শনিবার হবে বলে জানিয়েছেন বিমানমন্ত্রী।
এ সমস্যার মধ্যেই গত বুধবার জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনায় তৃতীয় টার্মিনাল নিয়ে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করে জাপান। তৃতীয় টার্মিনালের কাজ এরই মধ্যে চীনকে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এমনটি জানিয়ে বিমানমন্ত্রী জাপানের এমন প্রস্তাবকে চাপ বলে উল্লেখ করেছেন।
মেনন বলেন, ‘সবাই আমাদের চাপে রাখতে চায়। জাপান তো আগে প্রস্তাব দেয়নি। এখন তারা শেষমুহূর্তে এসেছে। আমি তো আমার স্বার্থ দেখব। আমাদের এটা ১৮-১৯-এর (২০১৮-১৯) মধ্যে শেষ করতে হবে। তারা বলছে, তারা ২১-এর (২০২১) পরে গিয়ে শেষ করবে। আমি তো সেটা মানব না। দুই বছরের মধ্যে যে পিরিয়ডটা যাবে, তাতে যে ইন্টারেস্ট রেট হবে, তাতে একই জিনিস পড়ে যাবে। এখন যদি সরকার বদলাতে চায়, ফরেন মিনিস্ট্রি বদলাতে চায় সেটা তার দায়িত্ব।’
বিমানমন্ত্রী আশা করেন, যুক্তরাজ্যের কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টা ৩১ মার্চের আগেই সমাধান হয়ে যাবে।