শিশুপাচারের ঘটনায় বৌদ্ধভিক্ষুসহ দুজন রিমান্ডে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/20/photo-1458485721.jpg)
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ১১ মেয়েশিশু মিয়ানমারে পাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার বৌদ্ধ ভান্তে উসিরি ভিক্ষুসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় শিশুদের শারীরিক নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুরা পুলিশের কাছে নির্যাতনের বিষয়টি জানিয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে উদ্ধার হওয়া ১১ শিশু, বৌদ্ধ ভান্তে উসিরি ভিক্ষু ও তাঁর সহকারী উচা থোয়াইকে বান্দরবান জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে উদ্ধার হওয়া শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশনা দেন আদালত। আগামীকাল সোমবার আবার শিশুদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক। পরে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মিয়ানমার থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুরা তাদের সঙ্গে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি জানিয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এর আলামত পাওয়া গেছে। সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা আজ সম্পন্ন হয়নি।
উসিরি ভিক্ষু আশ্রমে নেওয়ার কথা বলে রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে ১৩ মেয়েশিশুকে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার মিতিংঙ্গ্যাছড়ি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নেওয়ার কথা বলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৩ শিশুকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর মধ্যে এক শিশু পালিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলায় তাদের বাড়ি ফিরে আসে। সে জানায়, ১৩ শিশুকে পাচার করা হয়েছে। পরে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মিয়ানমারের বৌদ্ধভিক্ষু ও সীমান্ত বাহিনীর সহায়তার আরো ১০ শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে এক শিশুর অভিভাবক মেদো মারমা অভিযোগ করেন, মিয়ানমার থেকে শিশুদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার পর এখনো পর্যন্ত তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।