ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

Looks like you've blocked notifications!

মুহতামিমের কাছে মারপিট ও অসদাচারণের অভিযোগ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জে শাহাদত হোসেন (৯) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছেন দুই শিক্ষক।

গত শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে শহরের মালশাপাড়া মহল্লায় ওমর আলী দারুল উলমু ইসলামী কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহাদত বেলকুচি উপজেলার রয়নাপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় মক্তবের ছাত্র। তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষকের মারপিটে আহত মাদ্রাসাছাত্র শাহাদত ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, জহুরুল ইসলাম নামে মাদ্রাসায় নতুন এক শিক্ষক যোগ দিয়েছেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই ছাত্রদের কারণে-অকারণে মারপিট ও খারাপ আচরণ করেন। শাহাদতের বিরুদ্ধে অন্য ছাত্ররা মুহতামিমের কাছে অভিযোগ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে তুচ্ছ কারণ সাজিয়ে শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম, শাহাদতকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। দুই শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শাহাদতের পা, পিঠ ও পশ্চাতদেশ জখম হয়েছে।

শাহাদত জানায়, হুজুরের দুপা জড়িয়ে ধরে মাফ চাইলেও ছেড়ে দেয়নি। মারপিটের পর তার মাথায় পানি ঢালে এবং পরে ওষুধ খাইয়ে দেয়।

আহত শিশুটির বাবা জহুরুল ইসলাম জানান, তিন-চার বছর ধরে আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়েছি, কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। নতুন শিক্ষক জহুরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে অন্য ছাত্রদের পাশাপাশি আমার ছেলেকেও মারপিট করে। শনিবার রাতে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে আমার ছেলেকে বেদম মরপিট করে।

গতকাল রোববার (২০ মার্চ) দুপুরের দিকে শিশুটির বাবা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসার মুহতামিম ওমর ফারুককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত শিক্ষকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম ওমর ফারুক বলেন, আমি বগুড়ায় একটি এজতেমায় ছিলাম। খবর পেয়ে এজতেমা ছেড়ে চলে আসি। মারপিটের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, দুপুরে ছেলেটির বাবা অভিযোগ দেওয়ার পরই মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত ও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।