মৌলভীবাজারের রাবার ও চা-বাগানের বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা
মৌলভীবাজারের রাবার ও চা-বাগানের পাহাড়ি পানির ছড়া থেকে সিলিকা বালু উত্তোলনে ইজারা প্রদানের ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাঈদ আহমেদ কবীর।
এ বিষয়ে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা ইজারা নিয়েছেন, তাঁরা ড্রিল মেশিন, ড্রেজার ও এক্সাভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন-যা অবৈধ ও বেআইনি। এ কারণে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে রিট আবেদন করা হয়েছে। এ রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নতুন করে ইজারা দেওয়ার ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। পাশাপাশি ড্রিল মেশিন, ড্রেজার ও এক্সাভেটর জব্দ করতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া আদালত রুলও জারি করেছেন। রুলে পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়া ইজারা প্রদান কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে মৌলভীবাজারের ডিসি, এসপি, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ ছয় উপজেলার ইউএনওদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়াই মৌলভীবাজারের ছয়টি উপজেলায় রাবার ও চা-বাগানের ১৯টি পানির ছড়া (খাল) থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন এবং ইজারা প্রদান কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ মার্চ রিট করে বেলা।
রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার একটি ছড়াকে সিলিকা বালুসমৃদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করে। এর মধ্যে অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের জন্য ১৯টি ছড়া ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সরকার ইজারা দেয়। কিন্তু বিদ্যমান খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-সহ বিদ্যমান অন্যান্য আইন অনুযায়ী অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ পন্থায় সিলিকা বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।