ভোলায় সহিংসতায় শতাধিক আহত হওয়ার খবর, ৫ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, বোমাবাজি ও পুলিশের গুলিতে শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। এতে সদর উপজেলার দুটি ও দৌলতখান উপজেলার তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর অভিযোগ করেন,  

সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকেই জেলার ৩৬টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কেন্দ্রগুলোতে সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এক পর্যায় প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার প্রতিবাদ করায় বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়।

চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৩নং কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এখানকার দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউর রহমান প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘যা হয়েছে তা আমার সামনে হয়নি,  এখানে আটটি বুথ। আমাকে প্রতিটিতেই যেতে হয়। এর মধ্যে কিছু হয়ে থাকতে পারে, তবে তা আমার সামনে না।  তবে এখন আর হবে না।’

জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন খান জানান, ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর কেন্দ্রে সদস্য পদপ্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার ভোট বন্ধ করে দেন। ওই কেন্দ্রে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। একই উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া দৌলতখানের চর খলিফা ইউনিয়নের ৮নং কেন্দ্রে ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকটি শটগানের গুলি ছোড়ে। ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এদিকে চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের ১, ৩, ৮ ও ৫ নং কেন্দ্রে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি।

এ ছাড়া লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা নামক স্থানে সংঘর্ষ হয়।

এসব সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ভোলা সদরসহ স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে।