মংলায় চেয়ারম্যান নয়, নির্বাচন হয়েছে সদস্য পদে

Looks like you've blocked notifications!

মংলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের তিনটিতে বিএনপির কোনো প্রার্থীই ছিল না। যে তিনটিতে প্রার্থী ছিল তাঁদের কোনো এজেন্টই ছিল না। তারপরও মংলায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটারদের এ স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল ইউপি সদস্যদের নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করে। কারণ সদস্যদের কোনো দলীয় মনোনয়ন ছিল না। 

সারা দেশে প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে মংলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ ছিল শান্তিপূর্ণ। উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রের কোনোটিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী প্রিন্স জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মংলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো এলাকায় অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়নি।

এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে কোস্টগার্ড, বিজিবি, র‍্যাব, আনসার ও পুলিশের টহল নিয়মিত ছিল। ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট দিতে পেরেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সব কেন্দ্রেই ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে দেখা গেছে। মহিলা ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। 

তবে কেন্দ্রগুলোতে বিএনপি প্রার্থীর কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। মিঠাখালী গ্রামের আবদুল, সুলতান, শরাফত, নুর আলম, চাঁদপাই গ্রামের আবদুল্লাহ, গোলাম মোহাম্মদ, নাসির এবং চিলা গ্রামের নাসিমা, শেলী, ফিরোজাসহ আরো অন্যান্য ভোটার বলেন, চেয়ারম্যান পদে সব তো নৌকা মার্কার জয়-জয়কার। বিএনপি প্রার্থীদের কোনো নামই নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো সদস্য নির্বাচনে। সংরক্ষিত মহিলা আসনেও ভোটটা ভোটের মতোই মনে হচ্ছে। তবে সেটা আওয়ামী লীগেরই একাধিক প্রার্থীর কারণে।

মংলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র মূলত চিলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকবর গাজী। তাঁর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাসেল। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।