রেল ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের দাবি

Looks like you've blocked notifications!
রেলওয়ে নিয়ে বিভিন্ন দাবিতে ভৈরবে মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বাসদ ও সিপিবি। ছবি : এনটিভি

রেল ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ, মান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। 

দেশব্যাপী রেলরক্ষা অভিযাত্রার অংশ হিসেবে আজ শনিবার ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করেন দুই দলের নেতাকর্মীরা। 

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুই দলের নেতাকর্মীরা ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশনের তিননং প্লাটফরম থেকে একটি মিছিল বের করে বিভিন্ন প্লাটফরম প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং যাত্রীদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করেন।  

মিছিল শেষে স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফরমের পশ্চিম কোণে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। 

এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের জনসংখ্যা বেশি, জমি কম। মানুষের আয় কম। বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়। ফলে রেলের মতো সহজ, সস্তা, কম জ্বালানিসম্পন্ন পরিবহনের বিকল্প নেই। অথচ রেল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। স্টেশন, ইঞ্জিন এবং কর্মচারী কমলেও রেলের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। সরকারের ভুল পরিকল্পনা, দুর্নীতি এবং অপচয়ের কারণে রেল পরিণত হয়েছে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে। লোকসানের কারণ দূর না করে দফায় দফায় ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় রেল ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ, রেলের দখলকৃত জায়গা উদ্ধার, লুটপাট-দুর্নীতি বন্ধ করা এবং রেলকে আধুনিকীকরণ করা ও যাত্রী সুবিধা বাড়ানো দেশ ও জনগণের স্বার্থে জরুরি কর্তব্য হয়ে উঠেছে।

সভা থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, বাড়ানো হোক রেলের ইঞ্জিন, কামরা ও ওয়াগন, পাহাড়তলী, সৈয়দপুর ও পার্বতীপুরের রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়ন করা; রেল ও যাত্রীসেবার মান বাড়ানো, রেলওয়েতে ঘুষ ছাড়া পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ করে দক্ষতা বাড়ানো। দুর্নীতি, ভুলনীতি ও অপচয় বন্ধ করতে হবে। 

এ ছাড়া অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রেলের সম্পদ ও জায়গা উদ্ধার করতে এবং বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে রেলকে বেসরকারি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা। 

ওই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা সিপিবির সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সম্পাদক এনামুল হক, বাসদ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদস্য বিক্রম বসাক রোপক, হাসান ইমাম, হাবিল মিয়া প্রমুখ।