ব্যবসায়ীরা বললেন

ভৈরবে ২০০ কোটি টাকার কয়লা অবিক্রীত

Looks like you've blocked notifications!
পণ্য বিক্রি ব্যাহত হওয়ায় ভৈরবে কয়লার আড়তদাররা বিপাকে পড়েছেন। ছবি : এনটিভি

চলছে কয়লা বেচাকেনার মৌসুম। তবে ত্রেুতাশূন্য কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কয়লার আড়ত। প্রায় ২০০ কোটি টাকার কয়লা অবিক্রীত আছে। আর সময়মতো বকেয়াও আদায় হচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।  

এক যুগ আগে ভৈরবের মেঘনা ঘাটে গড়ে ওঠে কয়লার হাট। ভারত থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে নৌকা ও কার্গোতে করে এই ঘাটে কয়লা আসে। এ বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়লা সরবরাহ করা হয়।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ২০১৫ সালের এই মৌসুমে ভারতের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার ফলে দেশটির ব্যবসায়ীরা কয়লা রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করেন। তখন থেকে অন্য দেশের কয়লায় চাহিদা মেটানো হয়। পরে ভারত থেকে কয়লা আমদানি করা গেলেও সমস্যা দেখা দেয় অন্যত্র। সাশ্রয়ী হলেও দাম বেশি হওয়ায় ইটভাটা মালিকরা এখন আর ভারতীয় কয়লা ব্যবহারে আগ্রহী নন। এ পরিস্থিতিতে আড়তদারদের কাছে মজুদ থাকা প্রায় ২০০ কোটি টাকার কয়লা বিক্রি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ভৈরবের কয়লা ব্যবসায়ী হোসাইন আহম্মেদ মারুফী শাহিন বলেন, ‘কোনো ব্যাপারী আসতেছে না। অতীতের ২০-২৫ কোটি টাকা অনাদায়ে পড়ে আছে। আর প্রায় ২০০ কোটি টাকার কয়লা এখন নষ্ট হওয়ার পথে।’  

ভৈরবের কয়লা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মজনু সওদাগর হাসান বলেন, ‘এতদিন ভালোভাবে ব্যবসা করতেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের যে ব্যবসার পরিস্থিতি, হয় তো দুই-চারটা ঘরের (প্রতিষ্ঠান) ব্যবসা আছে। আর বাকিগুলোতে ব্যবসা নাই বললেই চলে।’

কয়লা বিক্রি না হওয়ায় ভৈরবের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

শ্রমিকরা বলেন, আগে কাজ করে দৈনিক ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা পারিশ্রমিক পান তাঁরা। 

উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।