ভোটারদের সংবর্ধনা দিলেন বিজয়ী ইউপি সদস্য
নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজে সংবর্ধনা না নিয়ে বরং উল্টো ভোটারদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী ইউনিয়নের এক নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ধরধরা কলেজ মাঠে ভোটারদের জন্য এই ব্যতিক্রমী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। গতানুগতিক ধারার বাইরে ইউপি সদস্যের এই অভিনব উদ্যোগকে এলাকাবাসী ‘ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত’ হিসেবে দেখছেন।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন অজিত কুমার বর্মণ। তিনি তাঁর আপন কাকাকে হারিয়ে এবারই প্রথম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।
এ সময় অজিত কুমার বর্মণ বলেন, ‘নির্বাচন আসলে ভোটাররা ভোট দেন। আবার নির্বাচিত ব্যক্তিকেই সংবর্ধনা জানানো হয়। কিন্তু আসলে তো যাঁরা ভোট দিয়ে এলাকায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন, তাঁদেরই সংবর্ধনা দেওয়া উচিত। আমাকে তাঁরা নির্বাচিত করেছেন। তাই কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্যই আমি ভোটারদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছি।’
ব্যতিক্রমী এই সংবর্ধনা সভায় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেন। অজিত তাঁদের সবার হাতে একটি করে গোলাপ ফুল তুলে দেন। এ সময় ভোটাররাও আবেগে আপ্লুত হন।
ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন খায়রুল আলম, ইসমাইল হোসেন, দাহির উদ্দীন, রশিদা বেগম, মেরিনা বেগম প্রমুখ।
পরে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান।
দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে অজিত ও তাঁর আপন কাকা প্রিয়নাথ বর্মণ ডোলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিল এক হাজার ৩০৩, ভোট দিয়েছেন এক হাজার ২৯৩ জন।
অজিত ৬৩৪ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। আর প্রিয়নাথ বর্মণ ডোলো পান ৬২৯ ভোট। পাঁচ ভোটের ব্যবধানে অজিত জয়লাভ করেন।
অজিতদের পরিবারে ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ জন ও আর তাঁর কাকা প্রিয়নাথের পরিবারে ভোটার সংখ্যা পাঁচজন।
অজিত মনে করেন, এলাকাবাসী দুজনকে সমান ভোট দিয়েছেন। পরিবারের পাঁচ ভোট বেশি পেয়েই তিনি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামীতে তিনি এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে চাচারও পরামর্শ নেবেন।