প্রার্থীর অভিযোগ হত্যা, পুলিশের দাবি হৃদরোগ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরাজিত এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর ভাই নিহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষরা তাঁকে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছে।
তবে পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
নিহত আবুল খসরু (৫২) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী (টিউবঅয়েল প্রতীক) শামসুল হকের চাচাতো ভাই ও স্থানীয় বারতোপা বৈশাখী নাট্যগোষ্ঠীর সহসভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর রাতে মাওনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক সদস্য পদপ্রার্থীর লোকজন স্থানীয় দক্ষিণ বারতোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ সময় পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ না করেই ব্যালট পেপারসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটগ্রহণের মালামাল নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অপর ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করে। এতে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় আবুল খসরু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি ওই ইউনিয়নের বারতোপা এলাকায়।
এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতো ভাই ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী শামসুল হক বলেন, ‘আমার কোনো সমর্থক কেন্দ্রে হামলা করেনি। টর্চলাইট প্রতীকের সদস্য পদপ্রার্থী সুরুজ্জামানের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন ভোটকেন্দ্রে হামলা করে এবং আবুল খসরুকে হত্যা করেছে।’
অপরদিকে নির্বাচিত ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান বলেন, হামলায় আহতের অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে শামসুল হকের লোকজন ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ভাঙচুর করেছে।
শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ঘটনার সময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবুল খসরু মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, তাঁকে বিলঘুষি মেরে প্রতিপক্ষ হত্যা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রোববার শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।