দুর্নীতি করে ভাগ্য গড়তে আসিনি : প্রধানমন্ত্রী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/04/30/photo-1462002139.jpg)
পদ্মা সেতু নির্মাণ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই সেতু নিয়ে তাঁর সরকারের দুর্নাম করার চেষ্টা হয়েছিল। সেজন্য এই সেতু নির্মাণকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জাতির পিতার কন্যা। দুর্নীতি করে ভাগ্য গড়তে আসিনি। নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য রাজনীতি করি না। এ দেশের মানুষের জন্য আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছেন। আমার মা জীবন দিয়ে গেছেন। আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন। ১০ বছরের শিশু রাসেল পর্যন্ত রেহাই পায়নি। যে দেশের মানুষের জন্য এত বড় ত্যাগ আমার পিতা স্বীকার করে গেছেন, সেই ভাগ্যহারা মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা এটাই আমার রাজনীতির লক্ষ্য।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের জন্য আমরা কাজ করি। সেখানে নিজেরা অর্থ সম্পদ বানাবার জন্য আমরা কাজ করি না। কিন্তু সেই বদনাম আমাদের দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তা পারেনি। আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম এবং তাঁদের টাকা ফেরত দিয়ে আজকে নিজেদের অর্থায়নে সেই পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করছি।’
দেশের দক্ষিণাঞ্চল সবসময় অবহেলিত ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরো ব্যাপক উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপির মতো হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে আমরা কাজ করি না। কারণ আমরা মনে করি, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষই আমাদের। তারা এ দেশের নাগরিক। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের জীবন উন্নত করা এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। আমি বলব, এটা বিস্ময় নয়, এটা বিশ্বাস। জনগণের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা আছে। আর জনগণেরও আমার প্রতি বিশ্বাস-আস্থা আছে। যে কারণে আজকে এই কাজগুলো আমরা এত দ্রুত করতে পারছি। আন্তরিকতা ও ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করি। কারণ আমি তো সব হারিয়েছি। আমার তো হারাবার কিছু নেই। আমার চাওয়া-পাওয়ারও কিছু নেই।’
এ সময় বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ উদ্বোধন করা চক্ষু হাসপাতালে বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে এখানে এসে চোখের চিকিৎসা নেবেন বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন তিনি।