চৌহালী উপজেলা রক্ষা বাঁধে ধস

Looks like you've blocked notifications!
গতকাল রোববার রাতে কালবৈশাখী ঝড় ও নদীর প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা রক্ষায় নির্মাণাধীন পাঁচ কিলোমিটার বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ধস নেমেছে। ছবি : এনটিভি

কালবৈশাখী ঝড় ও নদীর প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা রক্ষায় নির্মাণাধীন পাঁচ কিলোমিটার বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ধস নেমেছে।

গতকাল রোববার রাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বর্ষণের কারণে এ ধস নামে। ধসের কারণে দুই কিলোমিটার অংশের বালুভর্তি পাঁচ-ছয় মিটার জিও টেক্স সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে স্থায়ী ভাঙনরোধে যমুনা নদীর তলদেশে রিভেটমেন্ট পদ্ধতিতে নির্মাণাধীন বাঁধটি সামান্য ঢেউয়ের আঘাতে ধস নামায় নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।  

চৌহালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল বারী জানান, রোববার রাতে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে ঢেউয়ের আঘাতে নির্মাণাধীন ওই বাঁধটিতে ধস নামে। এতে চৌহালীর উত্তর সীমান্তে তেকির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে খাস কাউলিয়া গার্লস হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার জিওব্যাগ নদীগর্ভে চলে যায়। এ ছাড়া বাঁধের উত্তরদিকে নাগরপুর এলাকায় প্রায় সোয়া কিলোমিটার এলাকায় জিওব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান জানান, সকালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সকাল থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ছয়-সাতদিনের মধ্যে বিলীন হওয়া অংশটুকু রিকভারি করা সম্ভব বলেও এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

প্রায় ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি গ্রুপে চৌহালী শহররক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৩১ কোটি টাকার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ সাপ্লাইয়ের জন্য বিজে এবং স্থায়ী ভাঙনরোধে ৭৬ কোটি টাকা দুটি গ্রুপের কাজ আইজে (জেভি) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়ে শুরু করেছে।

প্রথম পর্যায়ে চৌহালীর খাসকাউলিয়া থেকে আতাপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় এরিয়া কভারেজ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে স্থায়ী ভাঙনরোধে যমুনা নদীর তলদেশে রিভেটমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ চলমান রয়েছে।