আমাদের বলার কিছু নেই : খন্দকার মাহবুব
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে যে আইনে নিজামীর বিচার হচ্ছে, সেটি ছিল কালো আইন। ১৯৭২ সালে ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর জন্য এ আইন তৈরি করা হয়েছিল। পরে এ আইনকে বেসামরিক লোকদের জন্য এনে নিজামীকে তার আওতায় বিচার করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আদালত রায় দিয়েছেন। তাই এ নিয়ে কিছু বলার নেই।
আজ বৃহস্পতিবার নিজামীর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খন্দকার মাহবুব।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজামীর আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে নিজামীর বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রইল।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
ওই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ওই আইন অনুযায়ী রায় দিয়েছেন, বিচার করেছেন। তাই আমাদের বলার কিছু নাই।’
‘তবে আমি বলে যাচ্ছি, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ আইনে বিচার কতটা সঠিক হয়েছে, তা নিরূপণ করবে। তখন হয়তো দেখা যাবে, যেভাবে এ আইনে বিচার করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি।’
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বিশেষ উদ্দেশ্যে এ বিচার করা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে একের পর এক ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। এটিও বিশেষ উদ্দেশ্যে দেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে খবর নিয়ে দেখেন, দেশের মানুষ এ বিচারের ব্যাপারে কী মনোভাব পোষণ করে? আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে পারি না। কেননা, ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের দেওয়া বানানো ও শেখানো সাক্ষীর ভিত্তিতে এ বিচার করা হচ্ছে। আদালত এখানে অসহায়। ’
নিজামীর আইনজীবী বলেন, প্রাণভিক্ষা চাওয়া নিজামীর নিজস্ব ব্যাপার। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর তিনি নিজেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।