দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলি
মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনী প্রচারের সময় দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নে সাহেবরামপুর গ্রামে দুই দফা এ সংঘর্ষ হয়।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান মোল্লার কর্মী বাবুল মোল্লা (৩০) ও সাগর মোল্লা (২৭)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবুলকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর সাগরকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান মোল্লার কয়েকজন সমর্থক অভিযোগ করেন, গতকাল সন্ধ্যায় সাহেবরামপুর গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান মোল্লার সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারে বের হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল হাসান সেলিমের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে সেলিমের সমর্থকরা গুলি ছোড়ে। এতে আসাদুজ্জামানের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এরই জের ধরে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। দুই দফার সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
সেলিম এসব অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘আমার সমর্থকরা কারো ওপর হামলা চালায়নি; বরং আসাদুজ্জামানের সমর্থকরা কাপড় দিয়ে তৈরি নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে ফেলেছে।’
রাজৈরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন
হামলা ও মামলার কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামাল খন্দকার নির্বাচন বর্জন করেছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজৈরের পোড়া হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে জামাল খন্দকার অভিযোগ করেন, ইশিবপুর ইউনিয়নে তিনি বিএনপি থেকে মনোনীত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু ইশিবপুর আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাঁকে অন্য প্রার্থীরা হুমকি দেয়। এমনকি তাঁর পোস্টার লাগাতেও দেওয়া হয় না। প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে রাজৈর থানায় ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে ‘হয়রানির চেষ্টা’ চলছে। এসব কারণে তিনি ৭ মের নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
এ সময় জামাল খন্দকার ৭ মের চতুর্থ দফা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওহাব আলী মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল হাসান খান, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি অহিদ গাজী প্রমুখ।