তিন মাস পেছাল ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার
ভারতের কোচবিহারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের বিশেষ আদালতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার এবার তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ মামলার কার্যক্রম আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেলানী হত্যা মামলার আইনজীবী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন।
আব্রাহাম লিংকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ বিএসএফের অাধিকারিক সিপি ত্রিবেদির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু বিএসএফের বিশেষ আদালতের সহকারী প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় বিচারিক কাজ সেদিনের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। পরদিন ২৬ মার্চ পুনরায় আদালত বসলেও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপস্থিত থাকায় মামলার কার্যক্রম আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে বিচারিক কাজ চলার সময় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চার মাসের জন্য বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন কোচবিহার বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফের বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিচার আবার শুরু করে বিএসএফ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম আদালতে অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে পুনরায় সাক্ষ্য দিয়ে অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায় বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী। এ হত্যাকাণ্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মানবাধিকারকর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়।