গাইবান্ধায় নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যাংক কর্মচারী নিহত

Looks like you've blocked notifications!

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নে নির্বাচনী সংঘর্ষের সময় লেবু মণ্ডল (৩৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর লেবু মণ্ডলের মৃত্যু হয়। 

লেবু মণ্ডল রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জামদানি গ্রামের প্রয়াত আবদুল কাদের মণ্ডলের ছেলে। তিনি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে অবস্থিত কৃষি ব্যাংকের অফিস সহকারী ছিলেন।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নওশা ফল ঘোষণায়  ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর শঙ্কায় গতকাল শনিবার রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাট বন্দরের ফাইভ স্টার মোড়ে অবস্থান নেন। ওই সময় তাঁর সমর্থকরা গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। 

খবর পেয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রায়হান দোলনের নেতৃত্বে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নওশার সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা বিক্ষোভ করে পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। 

ওই হামলায় ইউএনও, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ ছয়জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ ও বিজিবি। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মহাসড়কে আহত অবস্থায় লেবু মণ্ডলকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

এমন পরিস্থিতিতে রাতেই লেবু মণ্ডলকে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সংঘর্ষে আহত পুলিশ কনস্টেবল জাফরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।