শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু
২৫ বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে কবির স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়ীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা।
আজ রোববার সকাল ১০টায় কুঠিবাড়ীর মূল মঞ্চে কবির রচিত আমাদের জাতীয় সংগীত ও উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে তিনদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
পরে সেখানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিতির বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ। জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন।
এ ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের জীবন-কর্ম ও বিশ্বকবির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক লেখক গবেষক ড. মাসুদ রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহেলা আক্তার। আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে, এ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে গরম আর তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে এলাকার রবীন্দ্রপ্রেমীরা কুঠিবাড়ীতে জড়ো হন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ।
কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবিগুরুর জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারী আর ব্যবসার কারণে বার বার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন রবী ঠাকুর। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলী কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এ ছাড়াও তিনি এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সংগীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষণ আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।