চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা, হুমকি-ধমকি ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, ইউপি নির্বাচনে জনগণের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিএনপি অংশ নিয়েছে। কিন্তু সরকার এটিকে প্রহসনের নির্বাচন হিসেবে প্রমাণ করেছে। রাজবাড়ীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক এবং প্রার্থীদের ওপর নগ্ন হামলা হয়েছে। অজস্র মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ প্রার্থীদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রার্থীরাও স্বাধীনভাবে নির্বাচন করতে পারেনি।

জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, কোথাও কোথাও নির্বাচনের দিন জোর করে প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

আলী নেওয়াজ খৈয়ম আরো বলেন, ২৮ মে কালুখালী উপজেলার সাত ইউনিয়নের নির্বাচন। এর মধ্যে সেখানেও হামলা-নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। গত ১০ মে কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস ফকিরের ওপর বিনা কারণে হামলা হয়েছে। তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জেলা বিএনপির নেতারা চলমান ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি রোকনউদ্দিন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক এ মজিদ বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরল আলম দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।