পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার সঠিক

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তান যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তাতে প্রমাণিত হয় আর্ন্তজাতিক অপরাধ টাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া সঠিক।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা ক্লাবে ‘আবদুল কাদের মোল্লা : যুদ্ধাপরাধ বিচার ও ফাঁসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। সৈয়দ জাহিদ হোসেন ও সোনিয়া হক যৌথভাবে বইটি লিখেছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার বাঁধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা।
শেখ হাসিনা ছাড়া একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করা সম্ভব হতো না উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, এই বিচারের মান নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের হেগে জামায়াতের হেরে যাওয়ার মাধ্যমে এই বিচারের স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মান প্রমাণিত হয়েছে। একইসঙ্গে দণ্ড কার্যকর পর পাকিস্তান সরকার, আইনসভা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় এই বিচার স্বচ্ছ হয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে শক্তির মধ্যে এখনো অনেক দ্বিধা-বিভক্তি রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি একত্রিত থাকলে সব ষড়যন্ত্রই পরাজিত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন গণজাগরণ মঞ্চের কিছু ভূমিকার সমালোচনা করেন।
নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে এই বইয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। এটা বাহুল্য ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ গণজাগরণ মঞ্চ সবকিছু যে ভালো করেছে তা নয়। শেষ দিকে তারা অনেক উল্টাপাল্টা কাজও করেছে। আমরা কি তাদের বলেছিলাম পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে গিয়ে বেআইনি জমায়েত করতে? তারা শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে অনেক স্পর্ধামূলক কথাও বলেছে।
ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ওয়ার ক্রাইম ফাইন্ডিংস ফ্যাক্টস কমিটির সভাপতি ড. এম এ হাসান প্রমুখ।