রামুতে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত দুজনের মৃত্যু
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর ও গর্জনীয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ও সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রশিদনগর কাহাতিয়াপাড়ার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে নজির আহম্মদ ও গর্জনীয়া ইউনিয়নের স্কুলমুরা এলাকার মৃত মো. হোসেনের ছেলে মনজুরুল আলম (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রশিদনগর কাহাতিয়াপাড়া এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল করিমের মিছিলে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে নজির আহম্মদসহ দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ওই দিনই নজির আহম্মদকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। নজির আহম্মদ বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে নির্বাচনের আগের দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গর্জনীয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী ও একই দলের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে মনজুরুল আলম আহত হন। পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী মৃত মনজুরকে তাঁর সমর্থক বলে দাবি করেছেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ‘রশিদনগরে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত নজির আহম্মদের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সকালে স্থানীয় কবরস্থানে তাঁকে দাফনও করা হয়েছে। গর্জনীয়ায় মনজুর আলম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে নির্বাচনী সহিংসতায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, এ বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’