ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, মুঠোফোন গ্রাহকদের কার, কতটি সিম কোন অপারেটরের মাধ্যমে পুনর্নিবন্ধন হয়েছে, সে-সংক্রান্ত তথ্য আগামী ৭ জুলাই থেকে জানানো হবে।

আজ শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

স্ট্যাটাসে তারানা হালিম বলেন, ‘গতকাল আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে সব মোবাইল অপারেটরের সিইও, বিটিআরসির প্রতিনিধিদল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি আলোচনা সভা করি। ওই সভার কিছু সিদ্ধান্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম :

সিম নিবন্ধনের কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ১১ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক তাদের সিম বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে তাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করেছেন।’

‘এখন আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে—আমরা ৭ জুলাই, ২০১৬ হতে সকল মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে কার কতটি সিম, কোন অপারেটর এর তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) বিপরীতে নিবন্ধিত হয়েছে তা প্রতিটি গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

তারানা হালিম বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ-র‍্যাব) বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে—কোথাও কোনো প্রকার প্রিঅ্যাকটিভ সিম, অথবা ভেরিফাইড না করা সিম বন্ধ না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে সিমপ্রতি ৫০ ইউএস ডলার করে জরিমানা করা হবে।’

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের পর অপরাধ প্রবণতা কমেছে উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, ‘এ ছাড়া আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এক গুলশান থানাতেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সংগঠিত অপরাধের অভিযোগ আগে যেখানে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২০টি করে আসত, সেখানে বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর গত ১ জুন থেকে ৭ জুন এ ধরনের একটি মাত্র অভিযোগ দায়ের হয়েছে, যা আসলেই আমাদের আনন্দিত করে।’

‘পাশাপাশি বিটিআরসির হিসাবমতে, ১ জুন থেকে ৭ জুন অবৈধ ভিওআইপির পরিমাণ নজিরবিহীনভাবে কমে গেছে, যার ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এর আগে গত ৫ জুন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, ৩১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের মধ্যে ১১ কোটি ২১ লাখ সিমের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনর্নিবন্ধন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মের পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আরো ৩৮ লাখ সিমের পুনর্নিবন্ধন করা হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ কোটি ৬০ লাখ সিমের পুনর্নিবন্ধন হয়েছে। তিনি বলেন, পুনর্নিবন্ধন না করায় প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ সিম অকার্যকর করা হয়েছে।