আজ নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডি দিবস

১৫ বছরেও আ.লীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে ২০ হত্যার বিচার হয়নি

Looks like you've blocked notifications!
২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরণের পরের চিত্র। বিবিসির ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির ১৫ বছর হবে আজ। ২০০১ সালের ১৬ জুন রাত সোয়া ৮টায় চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরণে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পীসহ ২০ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। আহত হয়েছিলেন বর্তমান ও তৎকালীন সাংসদ শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক। নিহতদের মধ্যে চারজন ছিলেন নারী। চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন কৃষক লীগ নেতা চন্দন শীলসহ কয়েকজন। নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো সম্ভব হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহতদের স্মরণে চাষাঢ়া স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প অর্পণসহ জেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বোমা বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণ করা হবে।

১৬ জুনের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতা খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় বিস্ফোরণ ও হত্যার আলাদা দুটি মামলা করেন। মামলায় বিএনপি নেতা তৈমূর আলমসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার পর শামীম ওসমানসহ তাঁর তিন ভাইকে জড়িয়ে কয়েকজনকে আসামি করে পাল্টা মামলা করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়। পুনরুজ্জীবিত হয় প্রথম দায়ের করা মামলা।

২০১৪ সালের ২ মে সিআইডির তদন্ত সংস্থা ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করে। আসামিরা হচ্ছে ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি সংগঠনের দুই সহোদর আনিসুল মোরসালিন ও মাহাবুব মোত্তাকিম এবং চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান, নারায়ণগঞ্জের যুবদল কর্মী সাহাদাত হোসেন জুয়েল, শওকত হাসেম শকু।

মামলার বাদী খোকন সাহা বলেন, প্রক্রিয়াগত কারণে সাক্ষ্য গ্রহণে দেরি হচ্ছে। তবে তিনি নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন তিনি।