দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মিরাজ মুন্সি (২৭) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বেপারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মিরাজ মুন্সি আট মাস আগে আট লাখ টাকা ঋণ করে জীবিকার সন্ধানে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সে দেশের দারমান শহরের একটি মুদির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
মামাতো ভাই মো. মামুন দক্ষিণ আফ্রিকায় মিরাজের সঙ্গেই থাকেন। তিনি মিরাজের স্বজনদের জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রতিদিনের মতো মিরাজ আবার দোকানে যান। পরে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে) একদল দুর্বৃত্ত ডাকাতির উদ্দেশ্যে দোকানে আসে। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মিরাজ মুন্সি মারা যান। ফোনে ওই দিন রাতেই তাঁর মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে পরিবারের কাছে জানান মামুন।
এদিকে খবর পাওয়ার পর থেকেই নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এলাকাবাসী নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তাঁর গ্রামের বাড়িতে ভিড় করছে।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বেলাল মুন্সি কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘অনেক দেনা করে আমার ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। একটু ভালো থাকার জন্য বিদেশে গেলেও ওইখানের সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। ভালো সুস্থ ছেলে আমার হাসতে হাসতে বিদেশে গেল আর এখন লাশ হয়ে দেশে আসবে। আমরা এর বিচার চাই।’
এ সময় মিরাজের মা ছালেহা বেগম বলেন, ‘ঘটনার দিন জুমার নামাজের আগে মিরাজ আমাকে ফোন করে বলেছিল, মা নামাজ শেষ করে পরে তোমার সঙ্গে কথা বলব। আমার ছেলে আর ফোন দেয়নি। আর কোনো দিন আমার সঙ্গে কথা হবে না। ওই দেশের সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমার ছেলে মারা গেছে। আমি এ দেশের সরকারের মাধ্যমে ওই দেশের সরকারের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘ঘটনার কথা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ আমাকে কিছু বলেনি।’