দুর্নীতির তিন মামলা থেকে শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি

বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার সংশ্লিষ্ট তিনটি দুর্নীতির মামলা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০০২ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে রাজধানীতে নভোথিয়েটার নির্মাণকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনাসহ সাতজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। পরে তা তদন্তের জন্য সদ্য গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার মহাকাশ বিষয়ে দেশের একমাত্র স্থাপনা বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণকাজ শুরু করে। বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৩ কোটি টাকারও বেশি।
ওই কাজে পরামর্শক নিয়োগ ও অতিরিক্ত খরচ করার অভিযোগ এনে দুর্নীতির মামলা করে পরবর্তী কালের তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মামলা তিনটির অন্য আসামিরা হলেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এইচ কে সাদেক, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী লে. জেনারেল (অব.) নূর উদ্দিন খান এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহিউদ্দীন খান আলমগীর।
১১ দিন আগে দুদকের কমিশনার এম সাহাবুদ্দিন এ তিন মামলায় অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব স্বাক্ষর করেছেন। দুদকের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি অনেক দিন ধরে অনিষ্পন্ন শাখায় পড়েছিল।
সম্প্রতি এ কমিশন বিষয়টি আবার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে কোনো সত্যতা না পাওয়ায় কমিশনের অনুমতিক্রমে তদন্ত কর্মকর্তাকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার অনুমতি গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে কমিশন থেকে পাস করানো হয়েছে।’ তিনি জানান, এ দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর আদালতে ‘জেনারেল রেকর্ডিং’ কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র দাখিল করেন।
এর আগে ২০১০ সালে হাইকোর্ট এ মামলা দায়ের এবং এর প্রক্রিয়া বেআইনি ঘোষণা করেছিল।