মশাল নিয়ে রিভিউ এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রতীক ‘মশাল’ নিয়ে দলটির একাংশের (শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান) রিভিউ আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী।
এর আগে মশাল প্রতীক চেয়ে জাসদের দুই অংশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের নেতৃত্বাধীন জাসদকেই প্রতীকটি বরাদ্দ দেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাসদের অংশটি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রিভিউয়ের বিষয়ে কোনো সিন্ধান্ত না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হক প্রধান।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন শুনানি না করেই হঠাৎ করে একতরফাভাবে মশাল প্রতীকটি ইনু ও শিরীন আক্তারের নেতৃত্বাধীন জাসদকে দিয়ে দেয়। নির্বাচন কমিশন এভাবে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।
শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমরা ইসির এ সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল করি। কিন্তু দেড় মাস পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে আসি। শুনানি করে আজ আদালত এ আদেশ দেন।’
শাহদীন মালিক আরো বলেন, হাসানুল হক ইনু, শিরীন আক্তার নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আর অপর অংশ নাজমুল হক প্রধান অংশ নিয়েছেন মশাল প্রতীক নিয়ে। এ জন্য নাজমুল হক প্রধানদের মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দুই ভাগ হয়ে যায় জাসদ। সাংসদ শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করার বিরোধিতা করে ১২ মার্চ কাউন্সিলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ থেকে বেরিয়ে আলাদা কমিটি ঘোষণা করে দলটির একটি অংশ।
শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি ও সাংসদ নাজমুল হক প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এই কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন সাংসদ মইনউদ্দীন খান বাদল।