ঈদযাত্রা সামনে রেখে পুলিশের প্রস্তুতি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস।
কর্মদিবস শেষে গ্রামে সপরিবারে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে বাস, মিনিবাস ও অন্যান্য যানবাহনে চড়ে ছুটছেন হাজার হাজার যাত্রী। আর যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসন নিয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি।
ঈদ সামনে রেখে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রার ত্রিমোড় এলাকায় পুলিশ কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন ও মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান।
ওই সময় ডিআইজি বলেন, ‘আমরা কাউকে ছুটি দিইনি ঈদ পর্যন্ত। এবারও আমরা থাকব। গতবারের তুলনায় আমাদের লোকসংখ্যা এবার আমরা বাড়িয়েছি। এ ছাড়া যারা ইনস্পেকশন করছে, তাদের সংখ্যাও বাড়িয়ে দিয়েছি। কমিউনিটি পুলিশ, আদার যে ছাত্র সংগঠন, অন্য সহযোগী সংগঠন থেকেও কিছু সাহায্য দিচ্ছে। শ্রমিক ভাইয়েরা, মালিক ভাইয়েরা তারাও আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছে। সব মিলিয়ে অনেক বেশি লোকবল নিয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবার আমরা ঈদের দায়িত্ব পালন করতে পারব।’
‘রাস্তায় যাত্রীদের যাতে কোনো অকারেন্স না হয়, মানুষ যাতে কোনো দুর্নীতির শিকার না হয়, চাঁদাবাজির শিকার না হয়, অজ্ঞান পার্টি, মলমপার্টি বা কোনো দুর্বৃত্তের হাতে জীবন সম্পত্তি নষ্ট না হয় এবং মানুষ যাতে স্বচ্ছন্দে বাড়ি যেতে পারে, সে জন্য সবকিছুই আমরা করছি।’
ডিআইজি আরো জানান, এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে, এ জন্য গাজীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে।
এবারের ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১৭টি জেলার মানুষ যাবেন তাদের আপন গন্তব্যে। লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের বাহন বাস, মিনিবাস ও অন্যান্য হালকা যানবাহন। এ কারণে প্রতি ঈদেই এ মহাসড়কের চন্দ্রা ও আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট। তবে এবার চন্দ্রা পয়েন্টে মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় নির্বিঘ্নে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে বলে মনে করছে পুলিশ।
আর যানজট নিরসন ও মহাসড়কে অপরাধ ঠেকাতে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। যানজট নিরসনে এরই মধ্যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন, ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করেছে পুলিশ। প্রায় দেড় হাজার পুলিশ ও ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে বিভিন্ন পয়েন্টে।