গাজীপুরে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ব্যবসায়ী নিহত
ঈদ উপলক্ষে স্ত্রী ও পরিবারের জন্য গাজীপুরে কেনাকাটা করতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনার জেরে আবদুল খালেক (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার অনুপম সুপার মার্কেট-২-এর সূচনা কসমেটিকসের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল খালেক বগুড়া জেলার শেরপুর থানার কেল্লাকুশি মেলা গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকার সাইফুলের বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে নিয়ে ভাড়া থাকেন আবদুল মালেক। তাঁর প্রথম স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন। মালেক তরকারির ব্যবসা করেন।
ঈদ উপলক্ষে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে মালেক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার অনুপম সুপার মার্কেট-২-এর সূচনা কসমেটিকসের দোকানে যান। সেখানে কেনাকাটা শেষে দোকানিকে এক হাজার টাকার নোট দেন মালেক। পরে অবশিষ্ট টাকা ফেরত চাইলে দোকানদার এক হাজার টাকার নোট দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। এ নিয়ে দোকানদার ও কর্মচারীদের সঙ্গে মালেকের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় মালেক হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অন্যরা তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর দোকানে তালা লাগিয়ে ওই দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে ওই দোকানের মালিক বিল্লাল জানান, কেনাকাটা করতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও চাচাতো ভাই সোহেল জানান, মালেক হাসপাতালে মারা গেছে বলে অজ্ঞাতদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতে হাসপাতালে এসে মালেকের লাশ শনাক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবদুস সালাম সরকার জানান, তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আঘাতজনিত কারণে, না হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।