কীর্তনখোলা নদীতে স্টিমার-লঞ্চ সংঘর্ষ, নিহত ৫

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চ ও স্টিমারের সংঘর্ষে পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আজ সোমবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন লঞ্চ এমভি সুরভী-৭ ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্টিমার পিএস মাহসুদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পিএস মাহসুদের মাস্টার জয়নাল আবেদীন জানান, ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল স্টিমারটি। স্টিমারটি চরবাড়িয়া এলাকায় গেলে বিপরীতমুখী সুরভী-৭ লঞ্চটি একটানা হর্ন দেয়। নৌ আইন অনুযায়ী, একটানা হর্ন দিলে নৌযানগুলো যে যার ডান দিক থেকে চলবে। হর্ন অনুযায়ী স্টিমারটি ডান দিকে নিয়ে যাওয়া হলেও লঞ্চটি তার দিক পরিবর্তন না করে স্টিমারটিকে ধাক্কায় দেয়। ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বরিশাল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম জানান, সংঘর্ষে পিএস মাহসুদের ডান পাশের প্যাডেল পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া এর চারটি কেবিন দুমড়েমুচেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির আবুল কালাম জানান, স্টিমারটিতে ৭০০-এর মতো যাত্রী ছিল। তাদের স্টিমার এমভি মধুমতির সাহায্যে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
তবে মো. রুবেল নামের আহত এক যাত্রী জানিয়েছেন, স্টিমারটিতে দেড় থেকে দুই হাজার যাত্রী ছিল।
এদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্টিমারটিকে টাগ জাহাজ দুর্বারের সাহায্যে টেনে বরিশাল নৌ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সুরভী-৭ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হোসেন জানান, তাঁরা তিনজন নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
এ ছাড়া আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরো পাঁচজন। যদিও প্রাথমিকভাবে ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।