ব্যাগ তল্লাশির সময় পুলিশের ঘাড়ে কোপ!

‘পুলিশ যখন ব্যাগ তল্লাশি করতে যায় তখন এক জঙ্গি পুলিশ কনস্টেবলের ঘাড়ে কোপ দেয়। কোপ দেওয়ার সাথে সাথে গুলি।’
কিশোরগঞ্জের স্থানীয় এক সাংবাদিক বিবিসিকে এ কথা জানান। তিনি শোলাকিয়ার বাসিন্দা এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।
নিরাপত্তার জন্য শোলাকিয়া ঈদগাহের সামনে কিশোরগঞ্জ আজিমউদ্দিন হাইস্কুলের সামনে একটি পুলিশ চৌকি স্থাপন করা হয়। ওই চৌকিতেই তল্লাশির সময় পুলিশের ওপর হামলা করা হয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
স্থানীয় ওই সাংবাদিক বলেন, ‘কোপ দেওয়ার সাথে সাথে গোলাগুলি শুরু হয়। পুলিশ পাল্টা গোলাগুলি করার একপর্যায়ে অন্য পুলিশ সদস্যরা যখন আসে, তখন সন্ত্রাসীরা পালাতে চেষ্টা করে।
ওই এলাকার গোলাপবাগে হামলাকারীরা যখন অবস্থান নেয়, তখন পুলিশ দুজন হামলাকারীকে চিনতে পারে। হামলাকারীদের একজন চারতলা একটি বাড়ির নিচে আশ্রয় নেয়।
পুলিশ ওই হামলাকারীকে বন্দুক ও চাপাতিসহ আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি ও ককটেল উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক আরো জানান, মাইকে বয়ান চলছিল। বয়ানের কারণে হামলার ঘটনার খবর ভেতরে তেমন ছড়ায়নি। আতঙ্ক ছড়ালে দৌড়াদৌড়ি হতে পারত, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারত।
নামাজের পর মুসল্লিদের বলা হয় মাঠের পেছনের রাস্তা দিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে। তখনই মুসল্লিরা বিষয়টি জানতে পারে।
‘প্রথমে দুজন ছিল’
শোলাকিয়া মাঠের কাছেই মাহামুদুর রহমান ভূঁইয়ার বাড়ি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, পুলিশের চেকপোস্টেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
মাহামুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রথমে দুজন ছিল। সঙ্গে হয়তো আরো লোক ছিল। পরে দৌড়াদৌড়ির কারণে বোঝা যায়নি তারা সংখ্যায় কতজন ছিল।’ তিনি জানান. তাদের গায়ে ছিল সাদা পাঞ্জাবি। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর হবে বলে ধারণা মাহামুদুর রহমান ভূঁইয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে টহল পুলিশেন ওপর বোমা হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন সাত পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন।