শোলাকিয়ার সন্দেহভাজন জঙ্গি শফিউলের রক্ত পরীক্ষাগারে

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহের কাছে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সন্দেহভাজন জঙ্গি শফিউল ইসলাম সোহানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কড়া প্রহরায় তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ‘শফিউল স্বাভাবিক মানুষ থেকে অস্বাভাবিক মানুষে রুপান্তরিত হয়েছে। এ ধরনের জঙ্গিদের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রক্ত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করা হয়। সে অনুযায়ী শফিউলের রক্ত ও শরীরের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন হাতে পাওয়া মাত্র তা সরকারের কাছে পেশ করা হবে।’
শফিউল হামলার আগে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের মতো উদ্দিপক ওষুধ ‘ক্যাপ্টাগন’ সেবন করেছিল কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ ধরনের ওষুধের কার্যকারিতা চব্বিশ ঘণ্টার বেশি থাকে না। তবে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করলে ব্যবহারকারী ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তার মধ্যে এক ধরনের বোধ শূন্যতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে নিজের বাবার শরীরেও ছুরি চালাতে সে দ্বিধাবোধ করে না।
শোলাকিয়ায় হামলার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গত ৭ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ নম্বর সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয় শফিউলকে। এরপর থেকেই র্যাবের কড়া প্রহরায় তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই পুলিশ, র্যাবসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা শফিউলকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।