পুষ্টির নামে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আটক ৭

Looks like you've blocked notifications!
সিলেটে পুষ্টিসামগ্রী বিতরণের নামে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আজ বুধবার চাঁদের হাসি চিহ্নিত পারিবারিক ক্লিনিক থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

সিলেটে পুষ্টিসামগ্রী বিতরণের নামে একটি ক্লিনিক প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা আজ বুধবার দুপুরে ওই ক্লিনিকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতজনকে আটক করে।
 
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, গত জানুয়ারি মাসে দি চাঁদের হাসি চিহ্নিত পারিবারিক স্বাস্থ্য ক্লিনিকের মালিক চিকিৎসক জুবায়ের ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকল্পের কথা বলে ৫০০ জন মাঠকর্মী নিয়োগ করেন। তাঁদের শর্ত দেন, প্রত্যেককে ৫০০ পরিবারের মধ্যে একটি করে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিলি করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিতে হবে। বিনিময়ে তাদের পুষ্টিসামগ্রী বিতরণ করা হবে। মাঠকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিলি করে প্রতিষ্ঠানে এসে টাকা জমা দেন। কিন্তু পুষ্টিসামগ্রী বিতরণ করতে প্রতিষ্ঠানের মালিক গড়িমসি করেন। এতে বিপাকে পড়েন মাঠকর্মীরা।

একাধিক মাঠকর্মী এনটিভি অনলাইনকে জানান, এর আগে গ্রাম আদালত প্রকল্পে নিয়োগের নামে ২০০ জনের কাছ থেকে চার হাজার টাকা করে আট লাখ টাকা নেন জুবায়ের। ওই নিয়োগপ্রার্থীরাও কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আজ বুধবার দুপুরে প্রতারিত মাঠকর্মীরা ক্লিনিকে এসে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর রেজওয়ান হাসান কয়েস লোদীর উপস্থিতিতে সব মালামালের তালিকা করে ক্লিনিকে তালা দিয়ে হাউজিং এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এয়ারপোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন ক্লিনিকের সব কর্মীকে বের করে দিয়ে প্রকল্প পরিচালকসহ দুজনকে আটক করে।
 
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, চাঁদের হাসি ক্লিনিক থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দেওয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশ ঘটনার তদন্তে কাজ করছে।