কলেজে ঢুকে শিক্ষার্থীর তিন আঙুল কর্তন!
মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিমের ওপর হামলা চালিয়ে ডান হাতের তিনটি আঙুল কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। পরে আহত ছাত্র ইব্রাহিম সরদারকে পুলিশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আহত কলেজ ছাত্র ইব্রাহিম মাদারীপুরের একটি এতিমখানায় থেকে লেখাপড়া করত। ইব্রাহিম সদর উপজেলার কুলপদ্বি এলাকার মৃতু ফজলু সরদারের ছেলে। চলতি বছরে সে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হয়। পৌর মার্কেটের একটি দোকানে কাজ করে সে লেখাপড়া ও পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের বাগেরপাড় এলাকার অন্তর, জুলহাস, জুয়েল দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ইব্রাহিমকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত ইব্রাহিমের ডান হাতের তিনটি আঙুল কেটে গেছে। এ সময় সন্ত্রসীদের দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় পুরো কলেজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
একাধিক কলেজ ছাত্র জানান, অন্তর, জুলহাস, জুয়েল এরা কলেজের ছাত্র না হলেও প্রায়ই কলেজে এসেছে ছাত্রছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানান, এরা কলেজে নিয়মিত ইয়াবা বিক্রি করে। কেউ কিছু বললেই তাদের ওপর হামলা চালায়। কলেজ হোস্টেলে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়ায়। দূর থেকে পড়তে আসা ছাত্রদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে।
মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি আমি পুলিশকে অবহিত করেছি। কলেজের নিরাপত্তার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না। কলেজে বহিরাগতদের কারণে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকে। এটা আসলে দুঃখজনক।’
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক বলেন, কলেজে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ছাত্রদের ওপর হামলা করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। বহিরাগত দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।