‘জঙ্গি’র লাশ শনাক্তের জন্য নোয়াখালীতে আটক ৫

Looks like you've blocked notifications!

কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি জোবায়েরকে চিহ্নিত করে স্বজন বলে দাবি করেছে নোয়াখালীর এক পরিবার। আজ বুধবার নোয়াখালীর সুধারামপুর উপজেলাকে থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।  

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াস শরীফ বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, জোবায়ের সুধারামপুর উপজেলার আবদুল কাইয়ুম ও আয়েরা বেগমের ছেলে। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে দেওয়া ছবি দেখে ছেলে জোবায়েরকে চিহ্নিত করেন জোবায়েরের বাবা।  

এসপি ইলিয়াস শরীফ জানিয়েছেন, জোবায়েরকে চিহ্নিত করার জন্য আবদুল কাইয়ুম ও আয়েরা বেগমকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, জোবায়েরের লাশ শনাক্ত করার জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে সুধারাম থানা পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) যৌথভাবে শাহেদা আক্তার, লিয়া ও নুরুল আমিনকেও আটক করে। আটককৃতরা দাবি করেছে, শাহেদা আক্তার জোবায়েরের চাচাতো ভাই বাহাদুরের স্ত্রী, লিয়া জোবায়েরের বোন এবং নুরুল আমিন ওর চাচা।  

ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, লাশ শনাক্তের জন্য আটক পাঁচজনকে ঢাকায় পাঠানো হবে। লাশ শনাক্তের পরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এদিকে পুলিশ জানায়, নিহত জোবায়েরের চাচাতো ভাই বাহাদুর জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় নেতা। বাহাদুর জোবায়েরকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। তবে এ মুহূর্তে বাহাদুর কোথায় রয়েছে তা পুলিশ জানাতে পারেনি। পুলিশে ধারণা, বাহাদুর  আফগানিস্তানে গিয়ে জঙ্গি হামলার প্রশিক্ষণ নেয়।

আটক ওই পরিবার জানিয়েছে, জোবায়ের কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ। পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ ইউএনবিকে জানান, গত মে মাস থেকে জোবায়ের নিখোঁজ। নোয়াখালী থেকে নিখোঁজ হওয়া পাঁচজনের তালিকা করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব)। এর মধ্যে একজন ছিল নিহত জোবায়ের।  জোবায়ের নোয়াখালী সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

তবে নিখোঁজ তালিকায় বাহাদুরের নাম নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত সোমবার দিবাগত রাতে কল্যাণপুরের পাঁচ নম্বর রোডে জাহাজ বিল্ডিং নামের পরিচিত ওই ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নয় জঙ্গি নিহত হয়।