সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসে ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনে
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনড় সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কাজে যোগদান করেননি তাঁরা। শ্রমিকরা মিলের প্রধান গেটের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন।
আজ সকালের শিফটে কাজে যোগ দেননি শ্রমিকরা। দুপুর ও রাতের শিফটেও যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তাঁরা।
কয়েকজন শ্রমিক নেতা জানান, তাঁদের দৈনিক মজুরি শ্রেণিভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। মাস শেষে তাঁরা যে টাকা পান, তা-ও অনেক সময় অনিয়মিত। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে মিল সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়া হবে।
মিল শ্রমিক নেতা পবিত্র মণ্ডল, জোবেদ আলী, মতিয়ার রহমান, রেকসোনা খাতুন, জাকির হোসেন, হোসনে আরা খাতুন, আবদুল আজিজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাবি আদায়ে অনড় রয়েছেন তাঁরা।
এই নেতারা জানান, আগামীকাল বুধবার তাঁদের তিন দিনের আলটিমেটাম শেষ হবে। এর মধ্যে যদি মজুরি বৃদ্ধি না করা হয়, তবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, সুন্দরবন টেক্সটাইলসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবু হানিফ জানান, অনুরোধ সত্ত্বেও শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। তাঁরা গতকাল সোমবার থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
ডিজিএম আরো জানান, একসময়ের দেশসেরা মুনাফা অর্জনকারী মিল সুন্দরবন টেক্সটাইলসকে সার্ভিস চার্জের ভিত্তিতে চালু রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মেসার্স সুমন ট্রেডার্স সরকারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে মিলটিতে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। মিলে বর্তমানে ৩৫০ জন দিনমজুরসহ ৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। দৈনিক গড় আট বেল সুতা উৎপাদন হয় এবং এতে ৭০ হাজার টাকা মুনাফা হয়।
আবু হানিফ জানান, শুধু শ্রমিক মজুরি হিসেবে মাসে ১০ লাখের বেশি টাকা দিতে হয়। মিলটি এখন পুরোপুরি লোকসানে চলছে।
মিলটির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের কথা বলেছি। উৎপাদন অব্যাহত রেখে তাঁরা আন্দোলন করতে পারেন। এতে তাদেরই সুবিধা বেশি হবে। তাদের মজুরি প্রকৃতপক্ষে নগণ্য। শ্রমিকদের এই মজুরি চাহিদা শুধু সাতক্ষীরায় নয়, বাংলাদেশের বহু মিলেই রয়েছে। কিন্তু তাঁরা কাজও করছেন, আবার আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছেন।’