আন্দোলন ছাড়াই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে : সেতুমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলায় থানচি-আলীকদম উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি : এনটিভি

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই, এই সরকারের মেয়াদেই তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমাকে (সন্তু লারমা) আশ্বস্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

আজ বুধবার দুপুরে বান্দরবানের দুর্গম থানছি উপজেলায় থানচি-আলীকদম উপজেলা অভ্যন্তরীণ সড়কের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনতে পারছি পাহাড়ে আন্দোলনের বিষয় আসছে। সন্তু লারমা সাহেব শান্তিচুক্তি করেছেন। আমি সন্তু লারমা সাহেবকে আশ্বস্ত করছি, তাঁকে আর কোনো আন্দোলন করতে হবে না। এই সরকারের বাকি মেয়াদে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, ভূমি সমস্যাসহ সব সমস্যার চলমান প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করব।’

থানচি-আলীকদম সড়ক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিকল্প এই সংযোগ সড়কের মাধ্যমে পাহাড়ের পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটবে। থানচি-আলীকদম উপজেলাবাসীর জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাবে। সামগ্রিকভাবে পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে সড়কটি। সড়কের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। আগামী মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
 
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আরো বলেন, দেশে সবচেয়ে উঁচু রাস্তা হচ্ছে এটি। সেনাবাহিনী রাস্তা নির্মাণ করে অসাধ্য সাধন করেছে। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসংশনীয়। 

এ সময় সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম রিজিয়ন কমান্ডার মেজর জেনারেল শফিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান মেজর জেনারেল আবদুল কাদিম, বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান কর্নেল মোনায়ারুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে থানচি-আলীকদম ৩৩ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের ওপর দিয়ে আঁকাবাঁকা সড়কটির অবস্থান। এটি দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক।