গোয়ালন্দে আ. লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ
গোয়ালন্দে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুবুর রাব্বানীর স্ত্রী আফরোজা রাব্বানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মণ্ডলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। আফরোজা রাব্বানী পৌরসভার প্যানেল মেয়র এবং যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের এই সাংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী কেরামত আলী ছাড়াও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মণ্ডল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে কেরামত আলী বলেন, ‘দলীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার, নার্সকে মারধর, উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ির চালককে মারধর, বিভিন্ন ব্যক্তির জায়গা দখল এবং দলীয় এক নেতার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টাসহ একাধিক অভিযোগে গোলাম রাব্বানীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ঢাকা থেকে সাংবাদিক বাড়িতে এনে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’ প্রকাশিত সেসব সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. নুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘গোলাম মাহবুবুর রাব্বানীর স্ত্রী উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। মামলায় তাঁর পরিবার আমার হুমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাহবুবুর রাব্বানী নিজে সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় কয়েকটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে মিথ্যা অভিযুক্ত করেছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’