পাহাড় ছেড়ে একজন বাঙালিও কোথাও যাবে না
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/18/photo-1471520428.jpg)
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনীকে ‘বিতর্কিত’ এবং ‘পার্বত্য চুক্তির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
আইনটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর শেষে গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বাঙালি সংগঠনগুলো।
সকালে শহরের কাঠালতলির নিজস্ব কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রধান সড়ক অতিক্রম করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।
সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো. ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ, জেলা সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বক্তারা দাবি করেন, এই সংশোধনীর কারণে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারী বাঙালিরা ভূমি মালিকানা নিয়ে বিপদে পড়বে এবং ভূমিচ্যূত হবে। অন্যদিকে মাত্র পাঁচ লাখ পাহাড়ি মানুষ দেশের এক দশমাংশ জায়গা পার্বত্য চট্টগ্রামের একক মালিকানা পেয়ে যাবে, যা প্রকারান্তরে দেশকে বিচ্ছিন্নতাবাদের দিকেই ঠেলে দেবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান এবং আঞ্চলিক দলগুলোর চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, হাজারো বাঙালির রক্তেস্নাত পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একজন বাঙালিও অন্য কোথায়ও যাবে না, প্রয়োজনে অতীতের মতো আবারো নিজের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়ে যাবে।
বক্তারা বলেন, বিতর্কিত এই সংশোধনীর মাধ্যমে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও হ্রদের জলে ভাসা জমিকে অন্তর্ভুক্ত করায় এখানে হানাহানি মারামারি বাড়বে, সম্প্রীতি নষ্ট হবে এবং এই ধারা পার্বত্য চুক্তির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
সমাবেশ থেকে সামনে আরো কঠোর ও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।